বাংলাদেশ | বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৫, ২০২১ | ২ বৈশাখ,১৪২৮
রাজধানী
13-12-2016 10:39:55 PM
নারায়ণগঞ্জ জেলা সমিতি উদ্বোধন
১১ ডিসেম্বর চ্যানেল ডিবিসি ও একুশে টিভির টকশো শেষে এ.কে এম শামীম ওসমানের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হয় সিটি নির্বাচনের পর কমিটি গঠন করা হবে। তার আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা সমিতি ঢাকা, শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে ১৬ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক মুক্ত আলোচনার আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, লায়ন আলহাজ্ব মোজাম্মেল হক ভূইয়া, অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, বাংলার চোখ মিডিয়ার সম্পাদক ও ঢাকা চাটার্ড কমার্স কলেজের চেয়ারম্যান কে.এম আবু হানিফ হৃদয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা সমিতি উদ্বোধন ও মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জেলার ৭টি থানার সম্মানিত ব্যক্তিগণের মধ্যে জাতীয় সংসদ সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, সাংবাদিক, কবি, সাহিত্যিক, চাকুরিজীবি, প্রবাসি, মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল পেশার মানুষ। জেলা সমিতি উদ্বোধন উপলক্ষে জেলার সরকার দলীয় এমপি নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকার, জাতীয় পার্টির ভাইস-চেয়ারম্যান আলমগীর সিকদার লোটন, মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, ইয়াদী মাহমুদ, বশিরউদ্দীন বাচ্চু, প্রকৌশলী গোলাম মোহাম্মদ, কৃষিবিদ ড. হাবিব মোল্লা, এ.টি.এম আক্তারুজ্জামান, লায়ন আলহাজ্ব আবু বকর সিদ্দিক, অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল মোল্লা, সোনালী ব্যাংকের জি.এম মোফাজ্জল হোসেনসহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা লাল ফিতা কেটে নারায়ণগঞ্জ জেলা সমিতির উদ্বোধন করেন। আলোচনায় বক্তারা বলেন, দেশের সকল জেলা সমিতির চেয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা সমিতি একটি আকর্ষণীয়, সেবামূলক, প্রতিযোগিতা মূলক, বিনোদনমূলক ও দেশের গুণীজনদের উপস্থিতিমূলক প্রশংসনীয় একটি মিলন মেলার বন্ধন হবে। দ্বীর্ঘ ১৫ মাসে সমিতির প্রায় ৬ শতাধিক সদস্য নিয়ে উদ্বোধন করা হয়। খুব শীঘ্রই একটি প্রতিষ্ঠাতা কমিটি গঠন করা হবে। ২০১৭ সালের মধ্যে সদস্য সংখ্যা এক হাজারে উন্নতি করে দেশের স্বনামধন্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে দুই বছর মেয়াদি নির্বাচিত কমিটি গঠন করা হবে। সমিতির মাসিক বা বাৎসরিক চাঁদা নেই। প্রতি দুই বছর পরপর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রতি বছর সদস্যদের অর্থায়নে বনভোজনের আয়োজন করা হবে বলেও জানান। সকলে হিংসা ভেদা-ভেদ ভুলে বনভোজনের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ জেলা সমিতি একটি পরিবারে আবদ্ধ থাকার ঘোষণা করেন। বক্তারা আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা সমিতি দেশের একটি বৃহত্তম সমিতি হবে। সমিতির প্রতিটি সদস্যের মৃত্যুতে জেলা শহরে শোকসভার আয়োজন করে আলোচনার ব্যবস্থা করা হবে। জেলাকে নিরক্ষর মুক্ত ও পরিবেশ বান্ধব রাখতে সচেতনামূলক কর্মশালা করা হবে। মেধাবী শিক্ষার্থী তৈরিতে উৎসাহ প্রদান করা হবে। অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন, এম. এ আউয়াল।