বাংলাদেশ | শনিবার, জানুয়ারী ২৩, ২০২১ | ১০ মাঘ,১৪২৭
জাতীয়
13-12-2016 09:51:16 PM
‘জঙ্গিদের অর্থের উৎস খুঁজে বের করুন’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ উচ্ছেদে তার দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করে এই অশুভ শক্তিকে পরাজিত করতে এর কারণ ও অর্থের উৎস খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ একটি বিশ্বব্যাপী উদ্বেগজনক সমস্যা। এই সভ্যতা বিনাশী প্রবণতা নির্মূলে এর কারণ, উৎস ও প্রতিকারের উপায় নিরূপণ জরুরি। সরকার জঙ্গি নির্মূল ও সন্ত্রাসবাদ দমনে প্রয়োজনীয় সব রকম ব্যবস্থা নিয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে মিরপুর সেনানিবাসে ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স-২০১৬’ (এনডিসি) এবং ‘আমর্ড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স-২০১৬’ (এএফডব্লিউসি)-এর গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে প্রদত্ত প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশিক্ষিত ও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের মাটিকে অতীতের মতো সন্ত্রাস বা বিছিন্নতাবাদী তৎপরতার জন্য আর কখনো কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা অক্ষুন্ন থাকবে।
তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশসমূকে সর্বদাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে সহযোগিতামূলক পরিবেশ বজায় রেখে নিজস্ব উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা করতে হয়। এ প্রেক্ষিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য তাদের অর্থনীতিকে বহুমুখী ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নিজেদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করা অত্যন্ত জরুরি।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বিভিন্ন নিরাপত্তাজনিত সমস্যা নিরসনে তার সরকার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে।
তিনি সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল একটি সমন্বিত আঞ্চলিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করা। ইতোমধ্যে সে লক্ষ্য বাস্তবায়নের সূচনা প্রত্যক্ষ করেছি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিগত আট বছরে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতিসহ পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রভূত অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।
দেশ ও জনগণের সেবায় সশস্ত্র বাহিনীর গৌরবজনক ভূমিকা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা যেকোন দুর্যোগ ও বিপর্যয়ে নিষ্ঠা ও একাগ্রতার সঙ্গে জনগণের পাশে দাঁড়ায়। অবকাঠামো নির্মাণেও তাদের নির্ভরযোগ্যতা দেশে-বিদেশে সমাদৃত।
এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, তিন বাহিনী প্রধানগণ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবৃন্দ, বিদেশি কূটনিতিকবৃন্দ এবং সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপর্যায়ের কমকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
- See more at: http://www.manobkantha.com/2016/12/13/177040.php#sthash.MfIRtIdT.dpuf